আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপির ঘোমটা পরা প্রার্থী থাকবে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। কাজেই অন্যান্য সিটিতেও তাদের ঘোমটা পরা স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কয়েকটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ‘ঘোমটা’ পরা প্রার্থী দেওয়া ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা বিএনপির রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি। এটা ভণ্ডামি, তারা করছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে আমরা তাদের আমন্ত্রণ করছি না। নির্বাচন অংশগ্রহণ করা তাদের অধিকার। জাতীয় নির্বাচনে যেমন, সিটি নির্বাচনেও তেমন। আমরা লক্ষ করেছি যে বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে সব খানেই তাদের প্রার্থী ছিল।’
বিএনপি স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭ মার্চ, ১৭ এপ্রিলসহ কিছু দিবস তারা পালন করে না। বিজয় দিবসে তাদের প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু নেই, স্বাধীনতা দিবসেও দেখবেন বঙ্গবন্ধু নেই। জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়ে গেছে, সেই ধারা বিএনপিতে এখনো অব্যাহত।’
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। স্বাধীনতার আদর্শ তারা বিশ্বাস করে না। এটা আজকে বাংলাদেশের প্রমাণিত সত্য।
আওয়ামী লীগ ৩০ সিটের বেশি পাবে না—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রমাণ করবেন কীভাবে? নির্বাচনে আসেন, জনগণ ভোট দেবে। মনে কি নেই, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। পরে দেখা গেল, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ২৯টি আসন। এখন আবার সেই পুরোনো দম্ভোক্তি তারা করে যাচ্ছে।’
বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরাই ৩০ আসন পায় কি না দেখুক। দিন যতই যাচ্ছে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পাবলিক খায় না, পাবলিক যদি না খায় ওই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া যাবে, ঢেউ আসবে না। ডাক দেওয়া যাবে, জোয়ার আসবে না। এখন পর্যন্ত আসেনি। ভবিষ্যতেও আসার সম্ভাবনা নেই। মরুভূমিতে বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করছে, লাভ নেই। আপনাদের অঙ্গন মরুভূমি হয়ে গেছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ খুলনা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার নেতারা।