সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২ চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও হচ্ছেনা সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব টিটু ভুঁইয়ার জন্মদিনে বৃক্ষ রোপন আটপাড়ার তেলিগাতী সরকারি কলেজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশে ৯০ দশকের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মতবিনিময় এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আ’লীগ-যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত চলনবিলের গাছিরা তাড়াশে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ঘাতক স্বামী আটক চৌহালীতে সরকারি মাটি ভরাটকৃত রাস্তা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের হুমকি দিচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিতর্কিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন এর দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিলের কারন অনুসন্ধানের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সাইদুর রহমান মানববন্ধনের কারন অনুসন্ধানের পরিবর্তে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন লোকজন দিয়ে ফোন করিয়ে হয়রানি এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাইদুর রহমান মানববন্ধনে অংশ নেয়া মানুষদের ফোনে, অন্য অফিসারদের মাধ্যমে এবং এক পক্ষের লোকজনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ না করলেও দুজন ৩য় শ্রেণি কর্মচারীর চাকুরী খাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার এক অফিসারের মাধ্যমে মানববন্ধনে অংশ নেয়নি, শুধু ওই এলাকার বাসিন্দা এরকম দুইজনকে উপজেলায় ডেকে এনে মানববন্ধনের কারন নয় বরং এতে অংশ নেয়া মানুষজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা জানতে চেয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া, পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে রিমান্ডে নেয়া সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে বা ফাঁসিয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত এমনটাই জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া একাধিক ব্যক্তি। এমনকি যেদিন মৎস কর্মকর্তা সাইদুর রহমান তদন্ত করতে গিয়েছিলেন সেদিন নিজেকে ইউএনও বলে দাবী করে অংশগ্রহণকারীদের নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন।
সেদিন ভুমিদস্যু চক্রের তল্পিবাহক হয়ে অন্য পক্ষকে চিঠি না দিয়ে ফোনে ডেকে এনে অপমান এবং ভুমিদস্যু সাইফুল ইসলামের মেয়ের জামাই রমিজ ও এক মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ডিবি পুলিশ কর্তৃক আটককৃত আলামিনকে দিয়ে ভিডিও ধারন করেছিলেন যা পরে তিনিই স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, উপজেলার এই দুই বিতর্কিত শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম, দূর্নীতির প্রতিবাদে ও তাদের শাস্তির দাবিতে কিছুদিন আগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছিলো ৭১ নং কাদিগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এমনকি সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, জমিদাতা মাজিবুল হক তালুকদার সহ অন্তত ৪৬ জন অভিভাবক, এলাকাবাসী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপজেলার এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসব প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে বরং প্রতিবেদককে তার অফিসে যেয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেন।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
DNB News

সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের হুমকি দিচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিতর্কিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন এর দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিলের কারন অনুসন্ধানের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সাইদুর রহমান মানববন্ধনের কারন অনুসন্ধানের পরিবর্তে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন লোকজন দিয়ে ফোন করিয়ে হয়রানি এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাইদুর রহমান মানববন্ধনে অংশ নেয়া মানুষদের ফোনে, অন্য অফিসারদের মাধ্যমে এবং এক পক্ষের লোকজনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ না করলেও দুজন ৩য় শ্রেণি কর্মচারীর চাকুরী খাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার এক অফিসারের মাধ্যমে মানববন্ধনে অংশ নেয়নি, শুধু ওই এলাকার বাসিন্দা এরকম দুইজনকে উপজেলায় ডেকে এনে মানববন্ধনের কারন নয় বরং এতে অংশ নেয়া মানুষজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা জানতে চেয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া, পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে রিমান্ডে নেয়া সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে বা ফাঁসিয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত এমনটাই জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া একাধিক ব্যক্তি। এমনকি যেদিন মৎস কর্মকর্তা সাইদুর রহমান তদন্ত করতে গিয়েছিলেন সেদিন নিজেকে ইউএনও বলে দাবী করে অংশগ্রহণকারীদের নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন।
সেদিন ভুমিদস্যু চক্রের তল্পিবাহক হয়ে অন্য পক্ষকে চিঠি না দিয়ে ফোনে ডেকে এনে অপমান এবং ভুমিদস্যু সাইফুল ইসলামের মেয়ের জামাই রমিজ ও এক মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ডিবি পুলিশ কর্তৃক আটককৃত আলামিনকে দিয়ে ভিডিও ধারন করেছিলেন যা পরে তিনিই স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, উপজেলার এই দুই বিতর্কিত শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম, দূর্নীতির প্রতিবাদে ও তাদের শাস্তির দাবিতে কিছুদিন আগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছিলো ৭১ নং কাদিগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এমনকি সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, জমিদাতা মাজিবুল হক তালুকদার সহ অন্তত ৪৬ জন অভিভাবক, এলাকাবাসী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপজেলার এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসব প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে বরং প্রতিবেদককে তার অফিসে যেয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেন।