ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
৬ষ্ঠ জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা শাখা সমুহের করণীয় বিষয়ে প্রস্তুতি সভা ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা,উপজেলা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ১-৭ মে উপলক্ষে নানা কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে সপ্তাহব্যাপী সারাদেশের শাখা সমুহে ১৪ দফার প্রচারাভিযান, ৩ মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ও বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের শেষদিন ৭ মে রবিবার গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সকল শাখা থেকে ইউএনও,ডিসিদের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানো হবে।
গণমাধ্যম সপ্তাহের এ কর্মসূচীতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাথে যেকোন প্রেসক্লাব, যেকোন সাংবাদিক সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে সপ্তাহটি উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। ইতিমধ্যে বিগত ৫ বছরে অগনিত সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়া হাউজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একাত্মতা প্রকাশ করে সপ্তাহটি উদযাপনে পাশে ছিলেন।
বস্তুত; জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহটি যেমন সকল সাংবাদিকের; তেমনি ১৪ দফা দাবিও আপনার,আমার, সকলের হওয়া উচিত। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য দেশের সকল সাংবাদিককে একযোগে কাজ করতে আহবান করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা,ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর। তিনি বলেন, ৫২ বছরের বাংলাদেশে ‘সাংবাদিকরা’ আজো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। সরকারি উদ্যোগে হাতে নেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ ৬ বছর ধরে ঝুঁলে আছে। যে দেশে জেলেরা নিবন্ধিত, যে কেউ শিক্ষক-আইনজীবি হতে পারে না। নিবন্ধন ছাড়া কোন পেশার আশা করা যায় না। শিক্ষাগত যোগ্যতার বালাই নেই পেশাটিতে, তাইতো যে কেউ হঠাৎ সাংবাদিক। একটি রিক্সা,মটর সাইকেল, একটি গাড়ী, একজন চিকিৎসক, একজন পুলিশ, একজন ব্যাংকারেরও কোড/নিবন্ধণ নাম্বার/ লাইসেন্স থাকে। ৫২ বছরের বাংলাদেশে আপনি সাংবাদিক কতটুকু নিরাপদে কর্মস্থলে টিকে থাকতে পেরেছেন?মাঠে কতটুকু নিরাপদ থাকতে পারেন! পেশায় যুক্ত থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলছে কিনা? এ সকল প্রশ্নের জবাব খুঁজতে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ-২০২৩। এসকল কর্মসূচীর সাথে থাকবে মাসব্যাপী নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং হালনাগাদ সদস্য তালিকাকরণ।
বিএমএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমাজের নানা পেশার মানুষের সপ্তাহ ব্যাপী যেমন: মৎস্য সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, শিক্ষা সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ,স্বাস্থ্য সপ্তাহ,পুষ্টি সপ্তাহসহ শত শত দিবস রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপন করা হলেও সাংবাদিকদের একটি দিবস তাও রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ৩ মে গণমাধ্যম দিবসকে মাঝে রেখে ১-৭ মে গণমাধ্যম সপ্তাহের দাবি তোলা হয়।
জেলা উপজেলায় কর্মসূচী সম্পন্নের পর ২০ মে শনিবার রাজধানীতে সকল শাখাসমুহের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আমন্ত্রিত। সপ্তাহ উপলক্ষে বিশেষ ম্যাগাজিন ‘মিডিয়া ক্যানভাস’ প্রকাশিত হবে। ১০ মে’র মধ্যে লেখা পাঠাতে আহবান করা হয়েছে। সারাদেশ থেকে নির্যাতিত ১০ সাংবাদিককে ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। সাংবাদিকতায় ৪ দশক এমন প্রবীন সাংবাদিকদের বিশেষ সম্মাননা সহ জেলা থেকে একজন গুণীজনকে সম্মাননা দেয়া হবে।
এ সকল কর্মসূচী সফল করতে ট্রাস্টিবোর্ড, কেন্দ্রীয় ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে বিশেষ আহবান জানানো যাচ্ছে।