নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবকদের মামলার হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সহোদর ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত নানাভাবে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে রহিজ খান ও সাহালম খান নামের এই দুই ভাই।
গত ৩ অক্টোবরের ওই মানববন্ধনে অংশ নেয়া একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, মানববন্ধনের পর থেকেই সাহালম খান ও রহিজ খান ক্রমাগত তাদেরকে বিভিন্ন মামলার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছে সাহালম খান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাহালম খান ও রহিজ খান এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বনের জমি দখল, বনের গাছ চুরি, ভুমিদস্যুতা, মারামারি ও বিভিন্ন মানুষজনকে নানা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেন। স্থানীয় কাদিগড়, গনকা ও পালগাঁও চৌরাস্তা এলাকার নিরীহ মানুষজন এই দুই ভাইয়ের উগ্র আচরনে বিরক্তি এবং ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এলাকার নিরীহ মানুষজন এই দুই ভাইয়ের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকেন বলেও জানান তারা। মনজুরুল খান নামে তাদের এক ভাই পুলিশে চাকরি করায় তার নাম ও ক্ষমতার প্রভাবেই এই দুই ভাই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে বলেও মন্তব্য এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীর। গনকা এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে কাদিগড় গ্রামের সম্ভ্রান্ত তালুকদার পরিবারের সোহেল তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে পালগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় মারধোরের অভিযোগ রয়েছে তাদের নামে, পালগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগ আছে শাহালম এবং রইস খানের দাপটে তাদের চাচা ফজলু খান একই এলাকার মজিদ মুন্সী নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেল।
এর আগে মৃত লিয়াকত হোসেনকে মারধরের কারনে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে স্থানীয় আ: খালেকের বাড়িতে ঢুকে দরজা আটকে প্রাণে বেচেছিল শাহালম খানের ভাই রইস খান।
উচ্ছৃঙ্খল আচরনের কারনে এলাকায় লোকমুখে শাহালম খা ভাইরাস বলে পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রহিজ খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত সাহালম খান মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়- তিনি এসবের কিছু জানেন না তবে এসময় প্রতিবেদককে দেখা করে আলাপ আলোচনার প্রস্তাবও দেন সাহালম খান।
এই দুই সহোদরের অত্যাচার, নির্যাতন, হয়রানি থেকে বাঁচতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ জনগন।