সংবাদ শিরোনাম ::
চৌহালীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ জনকে জরিমানা চৌহালীর স্থল ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ চৌহালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ বেলকুচিতে ৮ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার এনায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১জন নিহত চৌহালীতে জাটকা নিধন প্রতিরোধে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত চৌহালীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৫ পালিত ঢাকাস্থ চৌহালী উপজেলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চৌহালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন চৌহালীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের প্রশাসনের আর্থিক সহযোগিতা

জামালপুরে চেক জালিয়াতি মামলার দুই বছর; উদ্ধার হয়নি ভোক্তভোগীর টাকা

মো. শামীম হোসেন, জামালপুরঃ

জামালপুরে ৫০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে একেএম দাউদ নামে এক ইট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দাউদ জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়ানীর চর এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দুই বছর কেটে গেলেও এবং ইট ব্যবসায়ী দাউদের কর্তৃক দেওয়া ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানের কাছে একটি অঙ্গিকার পত্র থাকলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি তার ৫০ লাখ টাকা। মামলা করেও টাকা উদ্ধার না হওয়ায় ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমান এখন হতাশ। সারা জীবনের সমস্ত সঞ্চয় হারিয়ে সে এখন পাগলপ্রায়।
জানা যায়, এ কে এম দাউদ একজন ইট ভাটার মালিক। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দাউদ ইট তৈরির মৌসুমে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা ধার নেয়। দাউদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ধার নেয় এবং তিনমাস মেয়াদে একটি দুই পক্ষের মধ্যে একটি অঙ্গিকার নামা সম্পাদন করে। পরে অঙ্গিকার নামার শর্ত অনুযায়ী দাউদ মাহফুজ এর নিকট সোনালী ব্যাংক লি. দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখার ৫০ লাখ টাকার একটি চেক (চেক নং ৫৫৮৩৮৩৮) হস্তান্তর করে। পরে তিন মাস পার হলে অভিযুক্ত দাউদের কাছে টাকা ফেরত চায় ভোক্তভোগী। কিন্তু দাউদ তার টাকা ফেরত না দিয়ে পক্ষান্তরে ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানকে হুমকী দিতে থাকে। এরপর বাধ্য হয়ে মাহফুজুর রহমানকে দেওয়া চেকটি সোনালী ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিসঅনার করেন।
ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমান জানান, ইট ব্যবসায়ী একেএম দাউদ তার সাথে প্রতারণা করেছে। তার জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের টাকা এখন দউদের হাতে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে সে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মামলার ব্যাপারে মাহফুজুর বলেন, টাকা লেনদেনের যাবতীয় নথিপত্র আদালতে আছে।
প্রতারক দাউদের শাস্তিসহ টাকা ফেরতের দাবি মাহফুজের।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত একেএম দাউদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
DNB News

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌহালীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ জনকে জরিমানা

জামালপুরে চেক জালিয়াতি মামলার দুই বছর; উদ্ধার হয়নি ভোক্তভোগীর টাকা

আপডেট সময় : ০৩:৪২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

মো. শামীম হোসেন, জামালপুরঃ

জামালপুরে ৫০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে একেএম দাউদ নামে এক ইট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দাউদ জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়ানীর চর এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দুই বছর কেটে গেলেও এবং ইট ব্যবসায়ী দাউদের কর্তৃক দেওয়া ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানের কাছে একটি অঙ্গিকার পত্র থাকলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি তার ৫০ লাখ টাকা। মামলা করেও টাকা উদ্ধার না হওয়ায় ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমান এখন হতাশ। সারা জীবনের সমস্ত সঞ্চয় হারিয়ে সে এখন পাগলপ্রায়।
জানা যায়, এ কে এম দাউদ একজন ইট ভাটার মালিক। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দাউদ ইট তৈরির মৌসুমে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা ধার নেয়। দাউদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ধার নেয় এবং তিনমাস মেয়াদে একটি দুই পক্ষের মধ্যে একটি অঙ্গিকার নামা সম্পাদন করে। পরে অঙ্গিকার নামার শর্ত অনুযায়ী দাউদ মাহফুজ এর নিকট সোনালী ব্যাংক লি. দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখার ৫০ লাখ টাকার একটি চেক (চেক নং ৫৫৮৩৮৩৮) হস্তান্তর করে। পরে তিন মাস পার হলে অভিযুক্ত দাউদের কাছে টাকা ফেরত চায় ভোক্তভোগী। কিন্তু দাউদ তার টাকা ফেরত না দিয়ে পক্ষান্তরে ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমানকে হুমকী দিতে থাকে। এরপর বাধ্য হয়ে মাহফুজুর রহমানকে দেওয়া চেকটি সোনালী ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিসঅনার করেন।
ভোক্তভোগী মাহফুজুর রহমান জানান, ইট ব্যবসায়ী একেএম দাউদ তার সাথে প্রতারণা করেছে। তার জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের টাকা এখন দউদের হাতে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে সে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মামলার ব্যাপারে মাহফুজুর বলেন, টাকা লেনদেনের যাবতীয় নথিপত্র আদালতে আছে।
প্রতারক দাউদের শাস্তিসহ টাকা ফেরতের দাবি মাহফুজের।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত একেএম দাউদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।