জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সগুনা ইউনিয়নে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মো. জুয়েল রানা (১৬) নামের এক যুবককে গাছের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
গত (২৮ এপ্রিল) শুক্রবার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সোমবার (১ মে) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নির্যাতনের শিকার জুয়েল রানা সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের মো হাসিনুর রহমানের ছেলে।
নির্যাতনে অভিযুক্তরা হলেন, সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের মোঃ মন্টু সরদারের ছেলে ও স্থানীয় ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদার, একই গ্রামের মৃত আল মাহমুদের ছেলে মোঃ মাজেদুল ইসলাম ও নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামের মো. শিপন হোসেন
নির্যাতনের শিকার জুয়েলের বাবা বলেন, তিন মাস ধরে আমার ছেলে জুয়েলের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। গত শুক্রবার রাতে আমার বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদার এতে আমার ছেলে জুয়েল চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন সরদারে নির্দেশে আমার ছেলে জুয়েলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার পায়ে দড়ি বেঁধে পা উপরের দিকে তুলে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মারধর করা হয় ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানে সামনে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার ছেলের জিহ্বা বের হয়ে এলে তারা মারধর বন্ধ করে।
অভিযুক্ত সগুনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. সুজন সরদার মারধরের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ।
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার আলী ভুট্টো সাথে এ বিষয়ে জানতে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি ।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউই অভিযোগ নিয়ে আসেনি, যদি ছেলেটি প্রহার করে থাকে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।