সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২ চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও হচ্ছেনা সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব টিটু ভুঁইয়ার জন্মদিনে বৃক্ষ রোপন আটপাড়ার তেলিগাতী সরকারি কলেজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশে ৯০ দশকের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মতবিনিময় এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আ’লীগ-যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত চলনবিলের গাছিরা তাড়াশে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ঘাতক স্বামী আটক চৌহালীতে সরকারি মাটি ভরাটকৃত রাস্তা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ

পোরশায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের দাবিতে বেসরকারি সংস্থা সাঁকোর পরিচালকের বাড়ি ঘেরাও

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর পোরশায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রাহক কতৃক কথিত বে-সরকারি সংস্থা সাঁকোর নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও। রোববার সংস্থাটির তিন শতাধীক গ্রাহক-কর্মচারী তাদের বিভিন্ন সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে উপজেলার দুয়ারপাল ভুট্টাপাড়ায় জহুরুলের বাড়ি ঘেরাও করেন। এসময় বাড়িতে কেউ ছিলনা এবং জহুরুল আগে থেকেই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায় প্রতারক জহুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি ২০২০ সালে গাংগুরিয়া ইউনিয়নের সরাইগাছি মোড়ে সাঁকো নামে একটি এনজিও এর কার্যক্রম শুরু করেন। এর ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন অংকের জামানতের মাধ্যমে কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীও নিয়োগ দেন তারা। নিয়েগকৃত কর্মচারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে এনজিওটি ভুয়া বলে কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক এর সত্যতা পেয়ে সংস্থাটি বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়ে যায়।

বিগত কয়েকমাস গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ ফেরত না পেয়ে রোববার তার বাড়ি ঘেরাও করেন। উপস্থিত একজন গ্রাহক শিশা ভবানীপুর গ্রামের শিউলি সাহা সহ একাধীক কর্মচারী ও গ্রাহক জানান, শিউলি সাহার ১০ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্যদের ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সংস্থাটিতে জমা আছে। এই টাকা গুলির দ্বিগুন টাকা তাদের দেওয়ার কথা কিন্তু এ পর্যন্ত তারা তাদের আসল টাকা ফেরত পাননি।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। যেহেতু এনজিও কতৃপক্ষ গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করেছেন, সেহেতু এটি একটি ফৌজদারী আইনের বিষয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা মামলা করার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। পরে ভুক্তভোগিরা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
DNB News

সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২

পোরশায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের দাবিতে বেসরকারি সংস্থা সাঁকোর পরিচালকের বাড়ি ঘেরাও

আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর পোরশায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রাহক কতৃক কথিত বে-সরকারি সংস্থা সাঁকোর নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও। রোববার সংস্থাটির তিন শতাধীক গ্রাহক-কর্মচারী তাদের বিভিন্ন সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নিতে উপজেলার দুয়ারপাল ভুট্টাপাড়ায় জহুরুলের বাড়ি ঘেরাও করেন। এসময় বাড়িতে কেউ ছিলনা এবং জহুরুল আগে থেকেই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায় প্রতারক জহুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি ২০২০ সালে গাংগুরিয়া ইউনিয়নের সরাইগাছি মোড়ে সাঁকো নামে একটি এনজিও এর কার্যক্রম শুরু করেন। এর ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন অংকের জামানতের মাধ্যমে কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীও নিয়োগ দেন তারা। নিয়েগকৃত কর্মচারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে এনজিওটি ভুয়া বলে কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক এর সত্যতা পেয়ে সংস্থাটি বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়ে যায়।

বিগত কয়েকমাস গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ ফেরত না পেয়ে রোববার তার বাড়ি ঘেরাও করেন। উপস্থিত একজন গ্রাহক শিশা ভবানীপুর গ্রামের শিউলি সাহা সহ একাধীক কর্মচারী ও গ্রাহক জানান, শিউলি সাহার ১০ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্যদের ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সংস্থাটিতে জমা আছে। এই টাকা গুলির দ্বিগুন টাকা তাদের দেওয়ার কথা কিন্তু এ পর্যন্ত তারা তাদের আসল টাকা ফেরত পাননি।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। যেহেতু এনজিও কতৃপক্ষ গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করেছেন, সেহেতু এটি একটি ফৌজদারী আইনের বিষয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা মামলা করার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। পরে ভুক্তভোগিরা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে বলে তিনি জানান।