সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২ চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও হচ্ছেনা সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব টিটু ভুঁইয়ার জন্মদিনে বৃক্ষ রোপন আটপাড়ার তেলিগাতী সরকারি কলেজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশে ৯০ দশকের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মতবিনিময় এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আ’লীগ-যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত চলনবিলের গাছিরা তাড়াশে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ঘাতক স্বামী আটক চৌহালীতে সরকারি মাটি ভরাটকৃত রাস্তা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ

সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ ও ডা. জেবুন্নেসার অসম বিয়ে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪১৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["default"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"addons":2,"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ (৩৫) সিরাজগঞ্জ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের লেকচারার ডা. জেবুন্নেসা (৫০)কে পাতানো ধর্ম মা বানিয়ে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায় ফিরোজ আহমেদ তাড়াশ থানার সরাপপুর বোয়ালিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

তিনি বগুড়ার সাইক মেডিকেল ইন্সটিটিউট থেকে ডিএমএফ কোর্স করেন। পড়াশোনায় ভালো হওয়ায়, মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম পারিবারিকভাবে ফিরোজের সাথে তার বোনকে বিয়ে দিয়ে তার হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেন।

সেখানে প্রতি মাসে ঢাকা থেকে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. জেবুন্নেসা রোগী দেখার জন্য আসতে থাকেন। ডা. জেবুন্নেসা ২দিন রোগী দেখেন বলে মাঝে মধ্যে কর্মচারী ফিরোজের বাসায় থাকতেন।

জেবুন্নেসা ধর্ম ছেলে-মেয়ে হিসেবে ফিরোজ ও তার স্ত্রীকে  সম্মোধন করতেন। সম্পর্কের তোয়াক্কা না করে কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় ফিরোজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক। চলতে থাকে পরকীয়া প্রেম।

 

এদিকে মা জেনারেল হাসপাতালে ছয় বছর দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে লুটপাট করে নিজেই হেলথ কেয়ার হসপিটাল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান করেন।

পরবর্তীতে সেখানেই নিয়মিত রোগী দেখেন ডা. জীবুন্নেছা। এতে ফিরোজ ও ডা. জেবুন্নেছার পরোকীয়া প্রেম আরো গভীর হয়।

এ সময় ডা. জেবুন্নেছার ৩য় স্বামীর সাথে চলে তার সংসার। ৩য় স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই গোপনে ফিরোজ কে করেন বিয়ে। বিয়ের সময় ফিরোজের স্ত্রী ও ১০ বছরের একটি সন্তান ও আছে। গোপনে বিয়ের বিষয় জানাজানি হলে তাদের নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জণ ও তিরস্কার।

বিয়ের পরে ফিরোজ হাসানের আগের স্ত্রীর টাকাসহ হেলথকেয়ার হাসপাতালের স্থায়ী একটি জায়গা কিনে সেখানে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমান ঐ হসপিটালের পরিচালক ফিরোজ।

এদিকে নারীলোভী বেরসিক প্রেমিক ফিরোজ তার স্ত্রী ও সন্তানকে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে ফিরোজ তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেয়। লিমা এখন একটি শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়ে সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

এমন কাহিনি শুনে ধিক্কার দিচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী ডা. জেবুন্নেসার চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজনেরা।রোগীরা ডা. জেবুন্নেসার কাছে সেবা না নিয়ে দুঃশচরিত্রা বলে থু-থু করে ফিরে যাচ্ছেন।এমন অপকর্মের সুষ্ঠ বিচার চাইছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে ফিরোজের প্রথম স্ত্রী লিমা খাতুন জানান আমার সন্তান ও আমার প্রতি এমন অমানবিক অত্যাচার ও জঘন্য কর্মকান্ডের বিচারের আশায় আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমার প্রতি অন্যায়ের সঠিক বিচাই চাই। আর এতো জঘন্য ঘটনা জীবনেও দেখিনি, মা-সন্তান সম্পর্কের মাঝে বিয়ে।

এবিষয়ে ডা. জেবুন্নেসা বলেন, আমার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে ফিরোজকে বিয়ে করেছি। ধর্ম মা হয়ে কিভাবে বিয়ে করলেন ফিরোজকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
এমন অসম প্রেম কাহিনী সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। এমন কর্মকান্ডের সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবী সচেতন মহলের।

2 thoughts on “সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ ও ডা. জেবুন্নেসার অসম বিয়ে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
DNB News

সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২

সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ ও ডা. জেবুন্নেসার অসম বিয়ে

আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ (৩৫) সিরাজগঞ্জ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের লেকচারার ডা. জেবুন্নেসা (৫০)কে পাতানো ধর্ম মা বানিয়ে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায় ফিরোজ আহমেদ তাড়াশ থানার সরাপপুর বোয়ালিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

তিনি বগুড়ার সাইক মেডিকেল ইন্সটিটিউট থেকে ডিএমএফ কোর্স করেন। পড়াশোনায় ভালো হওয়ায়, মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম পারিবারিকভাবে ফিরোজের সাথে তার বোনকে বিয়ে দিয়ে তার হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেন।

সেখানে প্রতি মাসে ঢাকা থেকে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. জেবুন্নেসা রোগী দেখার জন্য আসতে থাকেন। ডা. জেবুন্নেসা ২দিন রোগী দেখেন বলে মাঝে মধ্যে কর্মচারী ফিরোজের বাসায় থাকতেন।

জেবুন্নেসা ধর্ম ছেলে-মেয়ে হিসেবে ফিরোজ ও তার স্ত্রীকে  সম্মোধন করতেন। সম্পর্কের তোয়াক্কা না করে কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় ফিরোজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক। চলতে থাকে পরকীয়া প্রেম।

 

এদিকে মা জেনারেল হাসপাতালে ছয় বছর দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে লুটপাট করে নিজেই হেলথ কেয়ার হসপিটাল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান করেন।

পরবর্তীতে সেখানেই নিয়মিত রোগী দেখেন ডা. জীবুন্নেছা। এতে ফিরোজ ও ডা. জেবুন্নেছার পরোকীয়া প্রেম আরো গভীর হয়।

এ সময় ডা. জেবুন্নেছার ৩য় স্বামীর সাথে চলে তার সংসার। ৩য় স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই গোপনে ফিরোজ কে করেন বিয়ে। বিয়ের সময় ফিরোজের স্ত্রী ও ১০ বছরের একটি সন্তান ও আছে। গোপনে বিয়ের বিষয় জানাজানি হলে তাদের নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জণ ও তিরস্কার।

বিয়ের পরে ফিরোজ হাসানের আগের স্ত্রীর টাকাসহ হেলথকেয়ার হাসপাতালের স্থায়ী একটি জায়গা কিনে সেখানে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমান ঐ হসপিটালের পরিচালক ফিরোজ।

এদিকে নারীলোভী বেরসিক প্রেমিক ফিরোজ তার স্ত্রী ও সন্তানকে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে ফিরোজ তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেয়। লিমা এখন একটি শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়ে সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

এমন কাহিনি শুনে ধিক্কার দিচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী ডা. জেবুন্নেসার চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজনেরা।রোগীরা ডা. জেবুন্নেসার কাছে সেবা না নিয়ে দুঃশচরিত্রা বলে থু-থু করে ফিরে যাচ্ছেন।এমন অপকর্মের সুষ্ঠ বিচার চাইছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে ফিরোজের প্রথম স্ত্রী লিমা খাতুন জানান আমার সন্তান ও আমার প্রতি এমন অমানবিক অত্যাচার ও জঘন্য কর্মকান্ডের বিচারের আশায় আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমার প্রতি অন্যায়ের সঠিক বিচাই চাই। আর এতো জঘন্য ঘটনা জীবনেও দেখিনি, মা-সন্তান সম্পর্কের মাঝে বিয়ে।

এবিষয়ে ডা. জেবুন্নেসা বলেন, আমার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে ফিরোজকে বিয়ে করেছি। ধর্ম মা হয়ে কিভাবে বিয়ে করলেন ফিরোজকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
এমন অসম প্রেম কাহিনী সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। এমন কর্মকান্ডের সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবী সচেতন মহলের।