মোঃ ইমরুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে চৌহালী উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি নিজে ও সমর্থকদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন ব্যাপক। এমনকি এবারের মতো দলীয় প্রতীক থাকাছে না উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে । তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে চোখে পড়ার মতো। যদি ও বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আসবে না। তবে থেমে নেই বিএনপি নেতারা।
দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের ধরণা ধরছেন আগে থেকেই।
ফলে আওয়ামীলীগ তিনভাগে ভাগ হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।
ইতিমধ্যেই আওয়ামিলীগের সভাপতি মো.তাজ উদ্দিন মাঠে নেমে পড়েছেন।
পিছিয়ে নেয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফারুক সরকার।
তিনিও কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম মানিক ও প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে করছেন গণসংযোগ।
এই তিন আওয়ামীলীগ নেতা প্রার্থী হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তিনভাগে ভাগ হতে পারে।
অপর দিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ মাহফুজা খাতুন ও জোর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রত্যকটা ইউনিয়নে।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো.আলমগীর হোসেন ও চেয়ারম্যান পদে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
প্রচার-প্রচারণায় থেমে নেই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
যেসব ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা করছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার, সাবেক বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মো:আব্দুল কাহ্হার ছিদ্দিকী, সাবেক খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম গনি মোল্লা।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোছা.নাসরিন আক্তার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোছা.জহুরা পারভীন জোসনা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন বলেন, আমি দলের আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হইনি। দলের সুসময়-দুঃসময় যাই হোক সব সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের কাজ করেছি।
তবে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেই প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছি।আমি বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আমার পক্ষে নির্বাচন করবেন, ইনশাআল্লাহ ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সরকার বলেন, অন্য যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তবে তিনি প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকবেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মানিক বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই প্রার্থী হয়েছি।
আমরা যমুনা চরে অবহেলিত মানুষ, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সাধারণ ভোটার এবার আমাকেই সমর্থন করবেন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন বলেন, আমি চৌহালী উপজেলার সাধারণ জনগন চাপেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছি।
আরো অনেকের নাম চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানে শোনা গেলেও মাঠে নেই তারা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরে আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস দেখা গেলেও, বিএনপি’র তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে হাট-বাজার, চায়ের দোকান, পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের পাশাপাশি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়েও আলোচনা করছেন সাধারণ ভোটাররা।
পাশাপাশি ভোটারা বলছেন যাকে দ্বারা হবে চৌহালী উপজেলার উন্নয়ন তাকেই ভোট দিবেন তারা।
আরো অনেকের নাম শোনা গেলেও মাঠে নেই তারা।