চৌহালী প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুকুরিয়া থেকে চরসলিমাবাদ পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে যমুনার বাম তীর ভাঙ্গন রোধে “নদীতীর সংরক্ষণ” প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ২ জুনে, কিন্তু বর্ষা মৌসুমের কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় কয়েক মাস পরে। বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নদী পাড়ে বসবাসকারী মানুষের মাঝে দেখা যায় খুশীর বন্যা। কিন্তু কাজ শুরুর পর থেকেই জিও ব্যাগে ব্যবহৃত বালু যমুনা নদী থেকেই উত্তোলন করা হয় এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দেয় আবারও নদী ভাঙন আতংক। ডাম্পিং কাজে ব্যবহৃত বালু যমুনা থেকে উত্তোলন করলেও তা ছিলো ডাম্পিং এলাকা থেকে বেশ দূরে। তবে গত কয়েকদিন হলো ডাম্পিং কাজ এলাকা বা নদীর তীরের মাত্র ৫-৬শ মিটার দূর থেকেই বালু উত্তোলন করে ডাম্পিং কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নদী ভাঙন আতংক তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
শনিবার বিকেল ও রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চরবিনানই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিটুয়ানি গার্লস স্কুলের মাঝামাঝি ও নদী তীর থেকে মাত্র ৫-৬শ মিটার দূরে কয়েকটি বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন- যেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে তার একটু দূর থেকেই ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে ফলে এই বাঁধ কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
হেলাল উদ্দিন বলেন- ডাম্পিং কাজে ব্যবহৃত বালু একটু দূর থেকেই তুলছে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের সাথে মিলে রাতের আঁধারে বালু বিক্রি করছে এতে করে বর্ষার শুরুতেই ঝর্ণা ধরে জিও ব্যাগ সহ তীরবর্তী স্থাপনা বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এ ব্যপারে ঠিকাদার সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিন কিলোমিটার দূর থেকে বালু উত্তোলন করার কথা। প্রকল্পের বালু ও জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর দায়িত্ব রফিকের তবে রফিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।