সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২ চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও হচ্ছেনা সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব টিটু ভুঁইয়ার জন্মদিনে বৃক্ষ রোপন আটপাড়ার তেলিগাতী সরকারি কলেজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশে ৯০ দশকের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মতবিনিময় এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আ’লীগ-যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত চলনবিলের গাছিরা তাড়াশে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ঘাতক স্বামী আটক চৌহালীতে সরকারি মাটি ভরাটকৃত রাস্তা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ

খানকা শরীফের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব; প্রতিপক্ষের আঘাতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বড়গুয়াখড়া মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন খানকা শরীফের কমিটি নিয়ে দন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের মারপিটে মাদ্রাসাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আলীম সরকার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মারপিটের এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে মারপিটের সময় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারা হয়। এ ঘটনায় সাতজন নামীয় ও কয়েকজন অজ্ঞাতনামার নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ আব্দুল আলীমের মামা ও মামাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে।

আব্দুল আলিম সরকার উপজেলার বড় গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক সরকারের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা একই গ্রামের মৃত আরজান সরদারের ছেলে আফছার আলী মাস্টার ও আফছার মাস্টারের ছেলে খোকন মাস্টার।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, খানকা শরীফের পরিচালনা কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে বড় গুয়াখড়া খানকা শরীফের গেট সংলগ্ন ছালামের চায়ের স্টলের সামনে আব্দুল আলিমের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এসময় আব্দুল আলীমকে কিল, ঘুষি, লাথি মারা হয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, মাদ্রাসাটির ইসলামী জালছা করা নিয়ে ঘটনার আগে আব্দুল আলীম তার ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সব ভাই মিলে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বৈঠক শেষে তিনি পার্শ্ববর্তী মহেলা বাজারে যান। মহেলা বাজার থেকে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌছিলে অভিযুক্তরা আব্দুল আলিমকে গালিগালাজ শুরু করেন। আব্দুল আলিম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে খোকন মাস্টার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারা হয়।

চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
DNB News

সিরাজগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ন্যায্য মূল্যের ৭ টন চালসহ আটক ২

খানকা শরীফের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব; প্রতিপক্ষের আঘাতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বড়গুয়াখড়া মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন খানকা শরীফের কমিটি নিয়ে দন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের মারপিটে মাদ্রাসাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আলীম সরকার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মারপিটের এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে মারপিটের সময় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারা হয়। এ ঘটনায় সাতজন নামীয় ও কয়েকজন অজ্ঞাতনামার নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ আব্দুল আলীমের মামা ও মামাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে।

আব্দুল আলিম সরকার উপজেলার বড় গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক সরকারের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা একই গ্রামের মৃত আরজান সরদারের ছেলে আফছার আলী মাস্টার ও আফছার মাস্টারের ছেলে খোকন মাস্টার।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, খানকা শরীফের পরিচালনা কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে বড় গুয়াখড়া খানকা শরীফের গেট সংলগ্ন ছালামের চায়ের স্টলের সামনে আব্দুল আলিমের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এসময় আব্দুল আলীমকে কিল, ঘুষি, লাথি মারা হয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, মাদ্রাসাটির ইসলামী জালছা করা নিয়ে ঘটনার আগে আব্দুল আলীম তার ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সব ভাই মিলে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বৈঠক শেষে তিনি পার্শ্ববর্তী মহেলা বাজারে যান। মহেলা বাজার থেকে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌছিলে অভিযুক্তরা আব্দুল আলিমকে গালিগালাজ শুরু করেন। আব্দুল আলিম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে খোকন মাস্টার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারা হয়।

চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।