সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদারের (রাসেল) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ৯ সদস্য।
সোমবার (১০ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিষদের ৯ সদস্য।
অভিযোগে চেয়ারম্যানের প্রতি তারা অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। ফলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগে উল্লেখ আছে, মিজানুর রহমান তালুকদার চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই মাসিক সভাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সভা না করেই ভুয়া রেজুলেশন প্রদর্শন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে কাগজে-কলমে উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ কোনো কাজ না করেই একই কায়দায় তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন। শুধু তাই নয়, বিধি-বহির্ভূতভাবে একই বছর একই স্থান দেখিয়ে এলজি এসপি ও হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্প দিয়ে কাজ না করেই বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করেন। নাগরিক, ওয়ারিশ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতেও অবৈধভাবে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ৯ ইউপি সদস্য।
ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী বলেন, রাসেল চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন।
নানা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য সম্মিলিতভাবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি জানা নেই। যেহেতু জেলা প্রশাসক বা ইউএনও অফিস থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কিছু বলা হয়নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মন্ডল অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ সদস্যের স্বাক্ষর করা অনাস্থা প্রস্তাবটি হাতে পেয়েছি৷ সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।