নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অভিযোগ গঠনে বিলম্ব করাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা বলে মন্তব্য করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “পতিত স্বৈরাচার হাসিনা এবং তাঁর রেখে যাওয়া দস্যু এবং খুনি বাহিনী প্রতিশোধের স্পৃহায় মত্ত হয়ে আছে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গণহত্যার অভিযোগ না আনা বর্তমান সরকারের অদূরদর্শি সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেন, “হাসিনার ব্যাপারে চুপ থাকার সুযোগ নেই। ভারতের সাথে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী অবিলম্বে তাঁকে ফেরত চাইতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিচার হতে হবে।ট্রাইবুনালের আইন সংশোধনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, “সংশোধিত আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে গণহত্যা এবং গুমের দায়ে আওয়ামী লীগ এবং দলটিকে গণহত্যার জন্য ক্ষমতায়নের জন্য ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টিরও বিচার হতে হবে।” তিনি বলেন, “পাঠ্যক্রম সংশোধন কমিটিতে এসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞ আলেমদের অন্তর্ভূক্ত করে বিতর্ক এড়াতে হবে।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “বিগত আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার ভারতের ক্রীড়ানক সরকার হিসাবে ভূমিকা রাখায় গত সাড়ে ১৫ বছরে উদ্বেগজনকভাবে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ কর্তৃক কিশোরী ফেলানী থেকে স্বর্ণা দাস বা জয়ন্ত কুমারের হত্যা আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যমতে এইসময়ে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক ছয় শতাধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। তথাপি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষনেতাদের বিভিন্ন তীর্যক মন্তব্য আমাদের জন্য মর্যাদাহানিকর।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “ভারতের সাথে এতদিন ছিলো ফ্যাসিষ্ট হাসিনার সম্পর্ক। ভারত সরকারকে আমরা সতর্ক করে বলতে চাই, সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ না করলে বাংলাদেশের সাথে আপনাদের সম্পর্ক কখনোই সুখকর হবে না। বর্তমান সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে এখন থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, “এস আলমের মত যারা লুটেরা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আছে এরা যত অর্থপাচার করেছে এবং যত অর্থ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার থেকে লুট করেছে সেগুলো উদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এসব ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর উদ্যোক্তা এবং পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।” এনডিএম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের জীবিত খুঁজে বের করতে তাঁদের মাথার দাম ১ কোটি টাকা করে ঘোষণা করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল হাদি, এজানুর রহমান, এডভোকেট নূর উল্লাহ, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন দলের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি।