সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অধিকাংশ দিনের বেলায় বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,আমাদের গ্রামে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না। এই যায় চলে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি।
বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের মোঃ ফারুক আহমেদ ব বলেন, আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। যে কারণে আমরা ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে শঙ্কায় আছি। তিনি আরও জানান, যা একটু আসে তা ভোল্টেজ কমবেশীর কারণে বাসাবাড়িতে ব্যবহারযোগ্য ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো প্রায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমত বিদ্যুৎ না পেলেও ‘মাস শেষে ঠিকই বিল নিচ্ছে। আগের মাসের চেয়ে এই মাসে বিলও অনেক বেশি এসেছে।
সেরাজপুর গ্রামের গ্রাহক মোঃ সুলতান মাহমুদ, ফরিদুল ইসলাম, মোঃ নায়েব আলীসহ জানান, ‘আমরা যারা পুরুষ মানুষ, তারা হয়তো বাইরে ঘোরাফিরা করতে পারছি। কিন্তু ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বৃদ্ধ, নারীসহ শিশুরা। তারা তো আর বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না।
অপরদিকে ভদ্র মাসের প্রচন্ড গরমে বিপদে পড়েছে মুরগি খামারিরা। কেননা মুরগির বাচ্চা ও ব্রয়লার মুরগির খামারে ফ্যানের মাধ্যমে বাতাস দিয়ে ঘর ও ওই প্রাণীকুলকে ঠান্ডা রাখতে হয়। কয়েকদিনের ভাদ্রের তালপাকা গরমে ও কিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক খামারির মুগরি ও মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ায় খামারিদের লোকশান গুনতে হচ্ছে।
তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিরাপদ দাস বলেন, তবে সরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় শহরাঞ্চলে গ্রামের তুলনায় কম লোডশেডিং দেয়া হয় । তিনি আরও জানান, আমরা যে পরিমাণ কিদ্যুৎ পাই চাহিদার তুলনায় অনেক কম তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হয়।