ডিএনবি ডেস্কঃ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সরাসরি ভোটের পরিবর্তে নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এর নেতিবাচক প্রভাব বেশি হবে। এর ফলে জনগণ ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতা এবং গণতন্ত্রের মূলনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চেয়ারম্যান পদে স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। শিক্ষিত নেতৃত্ব উন্নয়নমূলক নীতি গ্রহণে সক্ষম হবে। তবে এটি গ্রামীণ বা পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, যেখানে শিক্ষার হার তুলনামূলকভাবে কম। এতে অনেক অভিজ্ঞ ও যোগ্য ব্যক্তি শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবে নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যান পদের জন্য এইচএসসি এবং ইউপি সদস্য পদের জন্য এসএসসি পাস বাধ্যতামূলক করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, সরাসরি ভোটের পরিবর্তে ইউপি সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তাব জনগণের ভোটাধিকার সংকুচিত করবে। সরাসরি ভোট জনগণের মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যা গণতন্ত্রের ভিত্তি। সরাসরি ভোটের অভাবে জনগণ ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে, এবং স্থানীয় প্রশাসন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। চেয়ারম্যানরা স্থানীয় সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগী কম হতে পারে এবং তাদের ওপর জনগণের চাপ কমে যাওয়ায় তারা সিদ্ধান্তের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য নাও হতে পারেন।
তাই চেয়ারম্যান পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত এইচএসসি এবং ইউপি সদস্য পদের জন্য এসএসসি পাস বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা বজায় রাখা জরুরি। এটি জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেবে এবং স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষা করবে।
এছাড়া সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবীরা ইউপি সদস্য হতে পারবে এমন প্রস্তাবও করা হয়েছে যা আত্মঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
আল ইমরান মনু
সম্পাদক- dnb.news